আসিফ আলির তাণ্ডবে থ্রিলার জিতলো পাকিস্তান

|

ছবি: সংগৃহীত

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। এর আগের দুই ওভারে বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু আসিফ আলি আরও একবার দেখালেন, ওভার বাউন্ডারিতেই যে এসব শঙ্কাকে অমূলক প্রমাণ করতে পারেন তিনি। ১৯-তম ওভারে করিম জানাতকে ৪টি বিশাল ছয় হাঁকিয়ে আফগানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের মূল শক্তি বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই দেখা গেছে, ক্রিকেটীয় সব শট খেলেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার কাজটা তারা খুবই ভালো পারেন। তবে আফগানিস্তানের সাথে দীর্ঘায়িত হয়নি এই উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ১২ রানের মাথায়ই ফিরে যান ইনফর্ম রিজওয়ান। তারপর মারমুখী ফখর জামানকে নিয়ে ধীরে সুস্থে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন বাবর। কিন্তু দশম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে বাবরকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন রশিদ খান। এই লেগস্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়ে অবশ্য জীবন ফিরে পান বাবর। কিন্তু পরের ওভারে আর রেহাই পাননি ফখর জামান। মোহাম্মদ নবিকে সুইপ করতে গিয়ে বলের ফ্লাইট মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তারপর চার ওভারের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ, বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। কিন্তু নিজেকে ফিনিশার হিসেবে প্রমাণের জন্য এই ম্যাচকেও আসিফ আলি বেছে নিলে উইকেটগুলোর পতনের চড়া মাশুল গুনতে হয়নি পাকিস্তানকে।

মোহাম্মদ নবি তার দলের বোলিং আক্রমণ সাজান দুই স্পিনার মুজিব উর রাহমান ও রশিদ খানকে কেন্দ্র করে। নতুন বলে পাওয়ার প্লে সামলানোর দায়িত্বটি ভালোভাবেই সেরেছেন মুজিব। ৪ ওভারের টানা স্পেলে মাত্র ১৪ রান খরচায় তিনি তুলে নিয়েছেন রিজওয়ানের উইকেট। আর মোহাম্মদ নবি দশম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এনেছেন তার দলের মূল বোলার রশিদ খানকে। মোহাম্মদ হাফিজের পর বাবর আজমকেও ফিরিয়ে সেই দায়িত্বও পালন করেছেন এই লেগস্পিনার। কিন্তু ওই যে, ফিনিশার হিসেবে আসিফ আলির নিজের পরিচয় বিশ্ব মঞ্চে জানান দেয়ার পথে ৭ বলে ৪টি ছয়ের সাহায্যে ২৫ রান করা ম্যাচ জয়ী ইনিংসের রাতে আর কোনো পার্শ্বনায়কও যে থাকে না!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply