সহকর্মীর সাথে পরকীয়া ও তাকে নিপীড়ণের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী অ্যাল্যাঙ টজ।
পরকীয়া ও নিপীড়নের অভিযোগে এবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষামন্ত্রী অ্যালান টজ। ২০১৭ সালে সহকর্মী ও গণমাধ্যম সেক্রেটারি র্যাচেল মিলারের সাথে পরকীয়ায় জড়ান তিনি। র্যাচেল এ সম্পর্কে থাকাকালীন অ্যালেনের বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করায় গঠিত হয়েছিলো তদন্ত কমিটি। খবর বিবিসি’র।
তবে অ্যালান তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। অবশ্য, তদন্ত চলাকালীন সময়ে অ্যালান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এক বছর আগে অ্যালানের সাথে সম্পর্কের কথা প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে প্রকাশ করেন র্যাচেল। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আরও কিছু কথা জানান। মিলার বলেন, সম্পর্ক চলাকালে অ্যালেনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিলাম আমি। অ্যালেন কর্মক্ষেত্রেও উৎপীড়ন, হুমকি-ধামকি এবং হয়রানি করতো। নিজের দক্ষতার ওপর আত্মবিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছিলাম। একসময় আমার মনে হতো যে আমি হয়তো আর কোথাও চাকরি পাবো না। প্রায়ই আমি কাঁদতাম।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সরকার কর্তৃক পরিচালিত এক তদন্তে ‘অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টের এক তৃতীয়াংশ সদস্য যৌন হয়রানির শিকার’- এমন তথ্য বেরিয়ে আসার পর ক্যানবেরার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং রাজনীতিবিদদের আচরণ নিয়ে বিস্তর আলোচনা শুরু হওয়ার মধ্যেই সামনে এসেছে দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর এমন স্ক্যান্ডাল।
এদিকে, অভিযুক্ত অ্যালেন টজ তার সাবেক সহকর্মী র্যাচেলের সাথে পরকীয়ার থাকার কথা স্বীকার করলেও তাকে নিপীড়ন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
/এসএইচ
Leave a reply