ওমিক্রন মানুষের ত্বকে কতক্ষণ বাঁচতে পারে, জানা গেছে গবেষণায়

|

মানুষের ত্বকে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন কমপক্ষে ২১ ঘণ্টা বাঁচতে পারে। ভাইরাসটি প্রয়োজনে টিকে থাকার সময়কাল বাড়িয়ে নিতেও পারে। মানুষের শরীরে কোভিডের সংক্রামক প্রজাতিগুলোর ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা টিকে থাকার সময় ঠিক কতক্ষণ, তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে জাপানের কোয়োতো প্রিফেকচুরাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকরা। তাদের গবেষণাতেই ধরা পড়েছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বিজ্ঞানীরা প্রখ্যাত ‘ক্লিনিকাল ইনফেকশিয়াস ডিজিজ’ সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণার খবর সামনে এনেছেন। গবেষকরা বলছেন, সার্স-কভ-২ ভাইরাস স্ট্রেন নাক ও মুখের জলকণায় ভর করে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। একে বলে ভাইরাস ড্রপলেট।

গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট ছোট জলকণায় ভেসে বেশি দূর যেতে পারে ভাইরাসটি। এই ড্রপলেট যদি মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেখানেই জমে বসে যায়। সাধারণত দেখা যায়, স্কিন বা ত্বকে যে কোনও ভাইরাস বা প্যাথোজেন ঘণ্টা দুয়েকের বেশি থাকতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাসও দুই ঘণ্টার বেশি বাঁচতে পারে না মানুষের ত্বকে। কিন্তু কোভিডের আলফা, বিটা, ডেল্টা ও ওমিক্রনের মতো সংক্রামক প্রজাতিগুলো সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

কোভিডের আলফা প্রজাতি ১৯.৬ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে ত্বকে, বিটা প্রজাতি বাঁচতে পারে ১৯.১ ঘণ্টা, গামা ১১ ঘণ্টা, ডেল্টা ১৬.৮ ঘণ্টা ও ওমিক্রন ২১.১ ঘণ্টা। শুধু বেঁচে থাকে না, রীতিমতো সক্রিয় থাকে। এই সময়ের মধ্যে নাক, মুখ দিয়ে ভাইরাল স্ট্রেনের শরীরে ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গবেষকরা বলেছেন, তাই করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘন ঘন হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। স্যানিটাইজার খুবই জরুরি। কারণ স্যানিটাইজারের রাসায়নিক উপাদান ভাইরাল স্ট্রেন নষ্ট করে দিতে পারে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৮০ শতাংশ ইথানলের সংস্পর্শে এলে ভাইরাল স্ট্রেন নষ্ট হতে পারে।

এছাড়া কোনো শক্ত সারফেস বা প্লাস্টিকের ওপরে ওমিক্রনের বেঁচে থাকার সময়কাল অনেক বেশি বলে জানানো হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিক বা কোনও মসৃণ পদার্থের ওপরে করোনার আলফা প্রজাতি বেঁচে থাকে ৫৬ ঘণ্টা, বিটা ১৯১.৩ ঘণ্টা, গামা ১৫৬.৬ ঘণ্টা, ডেল্টা ৫৯.৩ ঘণ্টা ও ওমিক্রন কম করেও ৮ দিন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply