২৯ বছরেও কাটেনি বিতর্ক, দিব্যা ভারতীর মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা

|

ছবি: সংগৃহীত

দিব্যা ভারতী, নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই মিষ্টি হাসি। তার সেই মিষ্টি হাসি সকলের হৃদয়ে অমলিন আজও। ভারতীয় এই অভিনেত্রীকে ছাড়া কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ২৯ বছর। তবে তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে আছে হাজারো প্রশ্ন। গতকাল (৫ এপ্রিল) ছিল বলিউডের সেই অন্ধকার দিন। খুন নাকি আত্মহত্যা এই বিতর্ক চলছে এখনও। আরও একবার ফিরে দেখা বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীকে।

নব্বই দশকে ভিউকার্ড–পোস্টারের সেসব দিনের কথা যারা মনে করতে পারেন, তারা মেলাতে পারবেন সহজেই; একটা মুখ খুব দেখা যেত, তিনি বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। মাত্র তিন বছরের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার রেখে ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা। মৃত্যুর ২৯ বছর পরেও তার মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য। তার মৃত্যু শুধুই কি দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে ছিল কোনো ষড়যন্ত্র?

১৯৯২ সালে ‘বিশ্বাত্মা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন দিব্যা। এর আগে ১৯৯০ সালে ‘বাবলি রাজা’ সিনেমা দিয়ে রূপালী জগতে তার বিচরণ ঘটে। অর্থাৎ এই তেলেগু সিনেমা দিয়েই তার যাত্রা শুরু। যদিও বিদ্যার জন্ম মুম্বাইয়ের জুহুতে। তবে বলিউড নয়, সে সময় তিনি একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দেন তেলেগু ইন্ড্রাস্ট্রিতে। অভিনয় করেন ‘নিলা পেনি’, ‘না ইল্লে না সরগম’, ‘রাউডি আল্লাডু’, ‘এসেম্বলি রাউডি’ ও ‘ধর্মাক্ষেত্রম’ সিনেমাতে। তেলেগু দর্শকদের কাছে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, দিব্যার নামে তামিলনাড়ুতে মন্দির উদ্বোধন করা হয়।

ছবি: সংগৃহীত

‘বিশ্বাত্মা’ সিনেমার পর একের পর এক হিন্দি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হতে থাকেন দিব্যা। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার লরেন্স ডি সুজার রোমান্টিক সিনেমা ‘দিল কেয়া কাসুর’ এ তার বিপরীতে থাকেন নায়ক পৃথবী। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ডেভিড ধাওয়ানের ‘শোলে ঔর শাবনাম’ এ তার বিপরীতে ছিলেন গোবিন্দ। কিন্তু টার্নিং পয়েন্ট ছিল শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘দিওয়ানা’ সিনেমাটি। সে বছরের অন্যতম ব্যবসা সফল সিনেমা হয় এটি।

এর পরপরই একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার শুরু হয় দিব্যার। ১৯৯২ এবং ১৯৯৩ এর প্রথমার্ধে তিনি ১৪টি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন যা আজ পর্যন্ত বলিউডে অভিষেক হিসেবে তার রেকর্ড হয়ে আছে। তখনি আরও এক বড় চমক দেন অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। বয়সে ৮ বছরের বড় সাজিদের প্রতি তার প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে, হিন্দু ধর্ম বদলে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতেও দুবার ভাবেননি দিব্যা।

বিয়ের মাত্র ১১ মাস পরেই আসে সেই মর্মান্তিক দুঃসংবাদ, প্রয়াত হয়েছেন দিব্যা ভারতী। শোনা যায়, পাঁচ তলা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মারা যান তিনি। কিন্তু এমন সফল অভিনেত্রীর এমন অকালমৃত্যু অনেক সন্দেহের প্রশ্নচিহ্ন তুলেছিল। এমনকি তার স্বামী সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। কেউ কেউ আবার আঙুল তোলেন মাফিয়া ডনদের দিকে। পুলিশ তদন্তও করেছিল। কিন্তু কোনো প্রমাণ না মেলায় ১৯৯৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় তদন্ত। স্মৃতির অতলেই তলিয়ে যান দিব্যা ভারতী।

আরও পড়ুন: টিপ পরা অভিনেতাদের ‘পাগল’ বললেন সিদ্দিক

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply