বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি পথ, ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার তাগিদ

|

ফাইল ছবি

লেক, পাহাড়, ঝর্ণা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার পার্বত্য জেলা বান্দরবান। এসবের আকর্ষণে দিনদিন বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। হাজার ফুট উচ্চতায় বান্দরবানের বিভিন্ন স্পটে যাতায়াতের পথ উপভোগ্য হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসব রাস্তায় দূর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনার কথা জানালেন প্রশাসন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার বগালেক, রাইক্ষ্যং লেক, নাফাখুম, চিম্বুক, নীলগিরিসহ অসংখ্য ঝিরিঝর্ণা মুগ্ধ করে যে কাউকেই। একই সাথে পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য আর ভেসে থাকা মেঘের ভেলাও দারুণ উপভোগ্য।

এসবের আকর্ষণে বান্দরবানে দিন দিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ট থেকে হাজার ফুট উচ্চতার বেশিরভাগ স্পটে যাতায়াতের পথ অনেকটাই আঁকাবাঁকা, সর্পিলাকৃতির। দেখতে সুন্দর হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

এ নিয়ে বান্দরবান প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক বলেন, পাহাড়ে যে বাঁক এবং ঢালু ও সরু রাস্তাগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রশাসন বা সড়ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

বাইরে থেকে বান্দরবানে ভ্রমণে আসা অনভিজ্ঞ চালকদের ঝুঁকিপূর্ণ এসব সড়কে সতর্ক থাকার পরামর্শ অনেকের।
বান্দরবান গাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাসিরুল আলম বলেন, বাইরের পর্যটকরা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে আসলেও আমাদের পরামর্শ হলো, নিজেদের গাড়ি শহরে রেখে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য আমাদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকদের গাড়ি ব্যবহার করবেন।

সম্প্রতি এসব সড়কে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, তৎপর প্রশাসন। সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও গাড়ি চলাচল তদারকি করা হচ্ছে। বিপজ্জনক বাঁকে রিফ্লেক্ট আয়না ও প্রটেকশন ওয়াল দেয়ার পরিকল্পনাও চলছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানালেন, রাতের অন্ধকার বা কুয়াশার মধ্যেও দেখা যায় এমন পিলার স্থাপনের ব্যবস্থা আমরা ইতোমধ্যেই নিয়েছি।

আর, ঝুঁকি এড়াতে সর্পিল সড়কের দুপাশে বৃক্ষরোপণসহ সুরক্ষা নিশ্চিতের তাগিদ স্থানীয়দের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply