সতীর্থ ও স্পোর্টিং ডিরেক্টরের উপর মেজাজ হারালেন নেইমার

|

ছবি: সংগৃহীত

মোনাকোর বিপক্ষে দলে ছিলেন না দুই সেরা তারকা লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল নেইমারের কাঁধে। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। মোনাকোর কাছে ১-৩ গোলে হেরে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা মাঠ ছাড়ার পরেই সতীর্থ ও দলের স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুই কাম্পোসের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝগড়া জড়ান নেইমার। সেই ঝগড়া গড়ায় ড্রেসিং রুম পর্যন্ত। খবর ডেইলি মেইলের।

ফ্রান্সের লে’কিপ সংবাদপত্র জানিয়েছে, প্রথম একাদশ নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না নেইমার। মাঠে খেলা চলাকালীন মাঝেমধ্যে সতীর্থদের সঙ্গে তর্ক হচ্ছিল তার। দল যে একসঙ্গে খেলছে না সেটা বোঝা যাচ্ছিল। নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন নেইমার। সতীর্থ ফরোয়ার্ড হুগো একিতিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। আর এক সতীর্থ ভিতিনহার উপরেও রাগ দেখান নেইমার।

ছবি: সংগৃহীত

ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি, গড়িয়েছে ড্রেসিংরুম অবধি। গেট ফুটবল নিউজ ফ্রান্সের তথ্যমতে, দলের খেলায় একটুও খুশি হতে পারেননি স্পোর্টিং ডিরেক্টর কাম্পোস। ফুটবলাররা ড্রেসিংরুমে ফিরলে তাদের তুলোধুনো করতে থাকেন তিনি। সেটা মেনে নিতে পারেননি নেইমার। কাম্পোসের সঙ্গেই তিনি দ্বন্দ্বে জড়ান। নেইমারের সঙ্গে যোগ দেন আরেক ব্রাজিলিয়ান মারকুইনোসও।

তবে বিবাদ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পিএসজির কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের। তিনি দলের খেলা নিয়ে কথা বলেছেন। গালতিয়ের বলেন, তাদের খেলায় লড়াকু মানসিকতার ঘাটতি দেখা দিয়েছে, আর এটাই চিন্তার বড় কারণ। আমাদের লড়াকু মানসিকতার অভাব ছিল। আর এটিই দলের বর্তমান অবস্থা। আমি এর পেছনে লুকোতে পারি না। দলের অবস্থা এমনই। শুনতে অদ্ভুত হলেও এটিই সত্যি। পিএসজির কোচ হিসেবে আমার মুখে এমন কথা অদ্ভুত শোনালেও, এটিই বাস্তবতা। দলের কোচ হিসাবে আমার দায়িত্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।

ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছর ভালো যাচ্ছে না পিএসজির। এর মধ্যেই তিনটি ম্যাচ হেরেছে তারা। চোটের কারণে দলের বাইরে এমবাপ্পে, মেসি। আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে লড়বে তারা। সেই ম্যাচে এমবাপ্পেকে পাবে না পিএসজি। তাই বাকিদের উপরেই ভরসা করতে হবে গালতিয়েরকে। কিন্তু দলের ভিতরে যা অবস্থা, তাতে যথেষ্ট চাপে আছেন তিনি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply