আরও ভয়াবহ কানাডার দাবানল, প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও

|

ইতিহাসের ভয়াবহতম দাবানলে পুড়ছে কানাডার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এরই মধ্যে পুড়ে গেছে ৩৮ লাখ হেক্টর এলাকা। যা গত এক দশকের গড়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি। ভয়াবহ এ দাবানলের কারণে বায়ুদূষণে নাকাল কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা। ফলে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এমনকি কানাডার দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়েছে প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক। খবর সিএনএন এর।

এখন পর্যন্ত কানাডার ৪ শতাধিক স্থানে ছড়িয়েছে দাবানল। যার মধ্যে ২৩৯টিই এখনন অনিয়ন্ত্রিত। কুইবেক, নোভা স্কোশিয়া, অন্টারিওসহ ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশটির ১৩টি প্রদেশ ও অঞ্চল। এরই মধ্যে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে।

এদিকে, ধোঁয়ার কারণে ফ্লাইট চলাচলে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। খেলাসহ উন্মুক্ত স্থানের অনেক ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। কানাডায় দাবানলের ইতিহাসে এই পরিস্থিতিকে সবচেয়ে ভয়াবহ আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দমকলকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ফায়ারফাইটার ও জরুরি বিভাগের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেশের মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এই মুহূর্তে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

কানাডার দাবানলের প্রভাবে নিউইয়র্ক, শিকাগো থেকে দক্ষিণে আটলান্টা পর্যন্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বায়ুদূষণ নিয়ে সতর্কতার আওতায় আনা হয়েছে ১০ কোটির বেশি মানুষকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, এটাই জলবায়ু পরিবর্তনের নমুনা। ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি এখন মানব সভ্যতা। নিউইয়র্কবাসীকে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। বিনামূল্যে এক লাখ মাস্ক বিতরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনালাপ করেন জাস্টিন ট্রুডো। সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো হয়েছে ৬০০ ফায়ার ফাইটার ও অগ্নিনির্বাপন সরঞ্জাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে বিশ্বে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply