‘যদি সেরা বোলিংটা করতে পারি একটা ভালো টোটালে আটকাতে পারবো’

|

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ শুরু করার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারলেই বাদ, এমন সমীকরণের সামনে ঝুলছিল বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ভাগ্য। তবে সেই আফগানদরই ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করে সাকিব আল হাসানের দল।

সুপার ফোরের প্রথম বাধা টপকাতে আগামীকাল পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। নেপালকে উড়িয়ে আর ভারতের সাথে পয়েন্ট ভাগ করায় এ গ্রুপের সেরা দলের নাম পাকিস্তান। যাদের পেইস ডিপার্টমেন্ট যেকোন প্রতিপক্ষের জন্য ত্রাসের নাম।

বিসিবির পাঠানো ভিডিওতে বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, এরকম উইকেটে আসলে বোলারদের মার্জিন অনেক ছোট থাকে। একটু এদিক-ওদিক হলে সেটা বাউন্ডারি হওয়ার চান্স বেশি থাকে। অনেক একুরেট বল করতে হয় ভেরিয়েশনের সঙ্গে। পাকিস্তানের ব্যাটিং পৃথিবীর অন্যতম সেরা। সহজ হবে না। কিন্তু আমাদের প্রতি বিশ্বাস আছে যদি সেরা বোলিংটা করতে পারি একটা ভালো টোটালে আটকাতে পারবো।

তবে বাংলাদেশের জন্য তার চেয়েও ভয়ের নাম নিজেদের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট। যদিও মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নেমে আফগান ম্যাচে বাজিমাত করেছে মেহেদি মিরাজ। তবে ঐ ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল শান্তর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়া শঙ্কায় ফেলেছে টাইগার শিবিরকে।

লাহোরে পড়ছে তীব্র গরম। এমনিতে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও সেটি অনুভব হচ্ছে আরও অনেক বেশি। এমন কন্ডিশনে খেলা সবার জন্যই কঠিন বলছেন তাসকিন। এজন্য মঙ্গলবার কোনো অনুশীলনও করেনি বাংলাদশে। সেটিও ভালো বলছেন জাতীয় দলের তারকা এই পেসার।

তাসকিন বলেন, শুধু পেস বোলারদের জন্য না। যে কারো জন্যই এই কন্ডিশনে ক্রিকেট খেলাটা বেশ কঠিন। তাও যেহেতু এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের রিকভারিতে বেশি খেয়াল রাখছি। একই সঙ্গে টিমের ফিজিও-ট্রেনার তারাও আমাদের অনেক সাহায্য করছে। আমরা আমাদের নিজেদের যথেষ্ট যত্ন নেয়ার চেষ্টা করেছি যেন আমরা সবাই সুস্থ থেকে খেলতে পারি। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং তাও এর মধ্যেই সেরাটা খেলতে হবে।

চলতি বছর সব ফরম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক যে ঐ নাজমুল শান্ত। এশিয়া কাপটাও কাটছিল স্বপ্নের মত। যদিও দলের সাথে যোগ দেয়া আরেক ওপেনার লিটন দাশ খেলবেন পাকিস্তান ম্যাচে। শান্তকে নিয়ে তাসকিন বলেন, শান্ত ইনজুরি পড়ায় অবশ্যই আমাদের দলের জন্য একটু ক্ষতি হচ্ছে। তাও ওর জন্য শুভকামনা রইলো ও যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে দলে ফিরে আসে। ও অসাধারণ ব্যাট করেছে দু’টি ম্যাচেই। ওর অবদান খুবই ভালো ছিল। যেহেতু ও ইনজুরিতে পড়েছে দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আশা করছি ওর পরিবর্তে যেই খেলবে ওর অভাবটা পূরণ করে দেবে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে পরিসংখ্যানে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। ৩৭ দেখায় বাংলাদেশের ৫ জয়ের বিপরীতে পাকিস্তানের জয় ৩২টিতে। এশিয়া কাপে ১৪ বারের দেখায় পাকিস্তানের ১২ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২ ম্যাচে। তবে এর মধ্যে ২০১৮ সালের ম্যাচটাই ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। তবে পরিসংখ্যানের পাতা পেরিয়ে লাহোরে আরও একবার সেরাটাই দিতে হবে সাকিব-লিটনদের।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply