বাজবল নিয়ে সাবেকদের কথার লড়াই

|

ছবি: সংগৃহীত

বাজবল নিয়ে ইংলিশ সাবেক ক্রিকেটারদের বিভক্তি এখন চরমে। ভারতের কাছে সিরিজ হারের পর এই কৌশল থেকে বের হওয়ার পরামর্শ জেফ্রি বয়কটের। তার দাবির সরাসরি বিরোধিতা করে বাজবলেই আস্থা নাসের হুসেইন ও মাইকেল অ্যাথারটনের। বর্তমান অধিনায়ক বেন স্টোকসও বাজবলের সমালোচনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।

সাদা পোশাকের লড়াইয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার কৌশলে বাজিমাত ইংল্যান্ডের। তবে টানা সাত সিরিজ জেতার পর এবার প্রশ্নের মুখে সেই বাজবল ক্রিকেট। ভারতের মাটিতে সিরিজ হার, বিশেষ করে রাঁচি টেস্টে হারের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটাররা।

যার শুরুটা জেফ্রি বয়কটকে দিয়ে। সাবেক এই অধিনায়ক বাজবলের সরাসরি সমালোচনা করে বলেন, এই কৌশল থেকে ইংল্যান্ডের বের হয়ে আসা উচিত। তিনি বলেন, আক্রমণাত্মক মানসিকতা থাকা বাঞ্ছনীয় কিন্তু তাতে যদি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি না হয়ে থাকে, তা হলে সেই ঘরানার ক্রিকেট থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বয়কটের মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন জো রুট। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দর্শকদের বিনোদন দিতে বাজবল ক্রিকেটই চালিয়ে যাবেন। একই সুর অধিনায়ক বেন স্টোকসের। বরং বাজবল নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি। বেন স্টোকস বলেন, সাবেকরা যে কোনো বিষয়টাকে আগ্রাসন বোঝাতে চাইছেন, সেটা আমার মাথায় ঢুকছে না। যখন আমরা এমন ঘরানার ক্রিকেট খেলে সফল হয়েছি, সকলেই বাহবা দিয়েছেন। আজ সিরিজ হারতেই তারা উল্টো সুরে কথা বলছেন! আমি সত্যিই বিস্মিত।

বর্তমানদের পাশে দাঁড়িয়ে আরেক সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনও গাইলেন বাজবলের জয়গান। মাঠের বাইরের কথা কানে না নিতে স্টোকস-রুটদের পরামর্শও দিয়ে রাখলেন তিনি। নাসের হুসেইন বলেন, ভারতের কাছে হারে কোনো লজ্জা নেই। তাই বাজবলকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার সময় এখনও আসেনি। গেল দেড় বছরে এই ক্রিকেট সংস্কৃতি সকলকে দারুণকে আনন্দ দিয়েছে। আমি মনে করি, মাঠের বাইরের কথায় কান দেয়ার দরকার নেই।

আরেক সাবেক অধিনায়ক মাইকেল অ্যাথারটনেরও দাবি, বাজবল নিয়ে সংশয় প্রকাশের সময় এখনও আসেনি। এই কৌশলে ২২ ম্যাচের ১৪টিতেই জয় পাওয়া ইংল্যান্ড দলের প্রশংসাও করেন তিনি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply