রোনালদো ফেরার দিনে ‘দুর্বল’ স্লোভানিয়ার কাছে হারলো পর্তুগাল

|

ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়টা বেশ ভালোই কাটছে পর্তুগালের। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে বিদায় নেয়ার পর থেকে পর্তুগাল অবশ্য আর হারেনি। সবশেষ ম্যাচেও সুইডেনকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল পর্তুগিজরা। সুইডেনের বিপক্ষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ মার্তিনেজ। বিশ্রাম কাটিয়ে স্লোভানিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পর্তুগাল দলে ফেরেন সিআরসেভেন। রোনালদোকে ফেরানো হলেও স্লোভেনিয়ার মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে ২-০ গোলে হেরে বসে পর্তুগাল।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ স্টেডিয়ান স্টোজিস স্টেডিয়ামে পর্তুগালকে আতিথ্য জানায় স্লোভানিয়া। বলার মতো কোনো আক্রমণ ছাড়াই প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল। কোনো দলই শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। পুরো প্রথমার্ধ পর্তুগাল বল দখলে রাখলেও আক্রমণে গিয়ে খেই হারিয়েছে বারবার। এদিন পুরো ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন রোনালদো। স্বাগতিক স্লোভেনিয়াও বলার মতো কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দু’দল।

ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে প্রথমবারের মতো বল থাকে লক্ষ্যে। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে স্লোভেনিয়ার বেঞ্জামিন সেসকোর শট দৃঢ়তার সঙ্গে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। এরপরের দশ মিনিটে ঝড়ের বেগে আক্রমণ চালিয়েছে পর্তুগালই। কিন্তু স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাককে খুব একটা কষ্টও করতে হয়নি। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন দিয়োগো দালত। তার শট চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের ৭২তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ২০১৬ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ীরা। রোনালদোর কাছ থেকে বল কেড়ে নিজেদের অর্ধ থেকে আক্রমণে ওঠে স্লোভেনিয়া। সেসকো কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিচু শটে গোল করেন সেরিন। ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

এই গোলের পর অবশ্য পর্তুগাল কামব্যাকের চেষ্টা করেছে। কিন্তু, সেটাও হয়নি। উল্টো ৮০তম মিনিটে পর্তুগালের হার একরকম নিশ্চিত হয়ে যায় এলসনিকের গোলে। পিটার স্টোয়ানোভিচের সঙ্গে ওয়ান খেলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এলসনিক। ডান পায়ের জোরালো এক শটে নিশ্চিত করেন পর্তুগালের হার। ম্যাচের বাকি সময়ে গোল শোধের বা সমতায় ফেরার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারেনি মার্তিনেজের দল। ফলে প্রায় ১৬ মাস পর হারের তেতো স্বাদ পেতে হলো পর্তুগিজদের।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply