জাতীয় পার্টির নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে মামলা

|

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জাতীয় পার্টির নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত বাদীর কাছ থেকে মামলার আবেদন পেয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছেন। মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় মাকসুদ হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৩) অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে মাকসুদ হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় মাকসুদ তার প্রথম বিয়েটির কথা গোপন রেখেছিলেন। সুলতানা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দেন। কিন্তু মাকসুদ তার কথা শোনেননি। উল্টো স্ত্রীকে চাপ দেন তার বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রির জন্য।

ওই সম্পত্তির মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। সেই সম্পত্তি বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘদিন মাকসুদ তাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফেলে রেখে যান। ২০২২ সালে ফের চাপ দিলে ফের সম্পত্তি বিক্রি করে আসতে বলেন মাকসুদ। বারবার স্ত্রীর বাবার সম্পত্তি দাবি করায় ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী সুলতানা।

গত ২১ এপ্রিল রাত ১১টায় মাকসুদ তার বন্ধুদের নিয়ে বন্দরের মদনপুরে সুলতানা বেগমের বাবার বাড়িতে হাজির হন। এসময় মামলা তুলে নিতে চাপ দেন এবং ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি করে মাকসুদের হাতে দিলে তাকে পুনরায় স্ত্রীর মর্যাদায় ঘরে তোলার প্রলোভন দেখান। প্রস্তাবে রাজি না হলে মাকসুদ ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতানাকে খুন করার হুমকি দেয়। এসময় মাকসুদ ও সুলতানার মেয়ে ইসরাত জাহান শ্রাবন্তি মাঝে এসে বাধা দিলে মাকসুদ তাকে মারধর করে সরিয়ে দেন। পরে সুলতানাকে মারধর করে হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যান।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply