আর্থিক নিরাপত্তা শক্ত করছে গিগা ই-কেওয়াইসি

|

দেশের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতি আনতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক ইলেকট্রনিক গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্ত বিশেষ একটি আদেশ জারি করেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকট্রনিক নো ইয়োর কাস্টমার (ই-কেওয়াইসি) দেশের সব ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানে চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

প্রযুক্তি অগ্রগতির কল্যানে ঝুঁকি বাড়ছে। ব্যাংকিংক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ঝুঁকি কমাতে ও ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে গ্রাহকদের তথ্য আদান-প্রদান ও বিনিময়ের জন্য ‘ইলেকট্রনিক নো ইয়োর কাস্টমার’ ই-কেওয়াইসি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯-কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ই-কেওয়াইসি চালু করে।

২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক ‘গিগা ইকেওয়াইসি’-এর মাধ্যমে ১০টি ব্যাংকে ই-কেওয়াইসি প্রকল্প চালু করে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানে ই-কেওয়াইসি প্রকল্প প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ব্যাংককে কেওয়াইসি অটোমেটেড বা ই-কেওয়াইসি চালু করা হবে।

গিগা ই-কেওয়াইসির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিগাটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকা জানান, ‘আমাদের দেশের ব্যাংকিংখাতে প্রতিনিয়তই সাইবার ঝুঁকিতে আছে। সেই ঝুঁকির কারণে আমাদের ব্যাংকিংখাত মানি লন্ডারিং ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষণ ও পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি গিগা ই-কেওয়াইসি সফটওয়্যার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কার্যক্রমে সহায়তা করছে।’ ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম, গ্রাহকদের তথ্য সংরক্ষরণ, জাতীয় ডাটা সেন্টারের সঙ্গে তথ্য সনাক্তকরণ, আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন তথ্যের সর্বোচ্চ গোপনীয় ও নিরাপত্তা দিচ্ছে গিগা ই-কেওয়াইসি। গিগাটেক লিমিটেড বেক্সিমকো গ্রুপের একটি প্রযুক্তি সেবা ও উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান।

ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও বেশি সুবিধাজনক উপায়ে ও পেপারলেস সেবা প্রদান করা যাবে।’ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট দেশের ৩৩ জেলার ৫০টি এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে গ্রাহক সেবা ও তথ্য সংগ্রহের কাজ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply