অপটিক্যাল ইলিউশন আসলে এমন এক বিষয় যা চোখে ধাঁধা লাগিয়ে মনকে বিভ্রান্ত করে। খুব ভালোভাবে দেখার পরে এমন কিছু চোখে পড়ে যা আসলে আগেও চোখের সামনেই ছিল কিন্তু দেখা পাওয়া যায়নি। অপটিক্যাল বা ভিজ্যুয়াল ইলিউশন প্রমাণ করে যে আমাদের মন বিশ্ব সম্পর্কে অনুমান করার প্রবণতা রাখে। সুতরাং যা দেখেন তা প্রায়শই সত্য নয়। কৌতূহল তো হয়ই, কীভাবে আমাদের চোখ এই সহজ আঁকাতেও এতো সহজে বোকা বনে যায়!
১৯ শতকে ইলিউশন বিষয়ে চর্চার ধুম শুরু হয়। একদল বিজ্ঞানী অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে কীভাবে প্যাটার্ন এবং আকার আমাদের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে তা জানার জন্য বিভিন্ন ইলিউশন তৈরি করেন। আমাদের মস্তিষ্ক সংলগ্ন নানা বস্তুর প্রেক্ষিতে আকার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয় এবং এটার হেরফেরও হতে পারে। যেমন ধরুন এই ছবিটা। ছবিতে একটি জিরাফের কোনো যমজ নেই। খুঁজে পেলেন কি?
কোথায় রয়েছে সেই জিরাফ যার মতো হুবহু আর একটিও নেই? ছবিটি খুব ভালো করে দেখুন। এই ব্রেইন টিজারে মোট ১৯টি জিরাফ রয়েছে, আপনাকে সেই জিরাফটিকে বের করতে হবে যার কোনো যমজ নেই। চেষ্টা করুন খুঁজে বের করতে। চোখে ধাঁধা লেগে যাবেই।
ভিন্ন জিরাফটি নীচের দু’টি সারির একটিতে রয়েছে। জিরাফের গায়ের প্যাটার্নের ভিত্তিতে খোঁজার চেষ্টা করুন। খুঁজে পেলেন কি? এরপরও যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে ভালো করে খেয়াল করে দেখুন মার্ক করা জিরাফটির গলার সামনের দিকে কোনো ধরনের দাগ নেই। কিন্তু অন্য সকল জিরাফের গলায় ধূসর দাগ রয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply