ইউক্রেনে অধিকৃত চার অঞ্চলকে অন্তর্ভূক্ত করতে প্রস্তুত মস্কো

|

বর্ণিল সাজে সেজেছে মস্কো।

ইউক্রেনে দখলকৃত চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত করতে প্রস্তুত মস্কো। রেড স্কয়ারে বর্ণিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ককে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তির ঘোষণা দেবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন, এসব অঞ্চলের রুশপন্হি নেতারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ চার অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মাধ্যমে কার্যত ইউক্রেন অভিযানের লক্ষ্য পূরণ করছেন পুতিন।

জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ককে রাশিয়ার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত করতে প্রস্তুত এখন মস্কো। রেড স্কয়ারে শেষ হয়েছে তার সব প্রস্তুতি। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউক্রেনের ৪ অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেবেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। শেষ মুহূর্তে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে।

পুতিন বলেন, পশ্চিমা শক্তি নিজেদের রাজনৈতিক তত্ত্ব অন্য দেশের ওপর চাপিয়ে দিতেই সংঘাত সৃষ্টি করছে। এটা হয়ে উঠেছে মানব সভ্যতার জন্য নতুন এক সংকট। এ কারণে রক্ত ঝরছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে। পশ্চিমের চাপিয়ে দেয়া রাজনীতি অনুসরণের সময় শেষ হয়ে এসেছে।

মস্কোর এমন সিদ্ধান্তে এরইমধ্যে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন দখলকৃত অঞ্চলগুলোর রুশপন্হি নেতারা। জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ককে রাশিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করায় পুতিনকে অভিনন্দনও জানান তারা।

লুহানস্কের রুশপন্হী নেতা লিওনিদ প্যাসেশ্নিক বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বহু বছর ধরে এই সময়টির অপেক্ষায় ছিলাম। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আর তা হলো রাশিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। ভৌগলিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে এ অঞ্চলগুলো রাশিয়ারই অংশ। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিই আমরা দাবি করে আসছিলাম বহু বছর থেকে।

ইউক্রেনের এই চার অঞ্চলের জনসংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৬২ হাজার। এর ফলে ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা যোগ হবে রাশিয়ার সাথে যা ইউক্রেনের মোট আয়তনের ১৫ শতাংশ। সবচেয়ে বড় বিষয়, অ্যাজভ সাগর ঘেষা চারটি অঞ্চল রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়ায়, ইউক্রেনের পুরো পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে মস্কোর হাতে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে কৌশলগতভাবে এগিয়া থাকবে মস্কো। যেকোনো মুহূর্তে চাপে ফেলতে পারবে কিয়েভকে।

বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক দিমিত্রি ওরেস্কিন বলেন, চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে একিভূত করাই ছিলো পুতিনের লক্ষ্য আর সে কারণেই ইউক্রেনে হামলা চালানো হয়েছে। এটা কিয়েভ বুঝতে পেরে মস্কোর সাথে কোনো আলোচনাতেই বসতে চায়নি। কারণ লক্ষ্য অর্জনে পুতিন ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এর আগে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়ায় অভিযান চালায় রাশিয়া। ১ মাসের বেশি সময় ধরে অভিযানের পর, মার্চে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করে মস্কো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply