ভাতঘুম কি শরীরের জন্য ভালো?

|

ছবি: সংগৃহীত।

আহাদুল ইসলাম

দুপুরে খাবার খেয়ে ভাতঘুম! অনেকেই একে ভালভাবে দেখেন না। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের জন্য অফিসে দুপুরে খাবারের পর ভাতঘুম দিলে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। এমনকি হতে পারে হাসি-ঠাট্টাও। কিন্তু আদৌ কি দুপুরের ঘুম শরীরের জন্য খারাপ?

দুপুরে খেয়েদেয়ে একটু চোখ না বুজলে অনেকের শরীর ঠিকঠাক কাজ করতে চায় না। আর ভাত খেলে তো কথাই নেই! খাওয়ার পর চোখ দুটো বুজে আসে। তারপরই কিছুক্ষণের জন্য অন্য জগতে হারিয়ে যান অনেকে। বাড়িতে থাকলেও অনেকে ভাতঘুমে অভ্যস্ত।
অন্যদিকে অফিস কর্মচারীদের এই অভ্যাস নিয়ে চলে রীতিমতো ঠাট্টা। সবার না হলেও, অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে। কারও কারও কথায়, এ নাকি বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কুঅভ্যাস।
কিন্তু ভাতঘুম শরীরের জন্য মোটেই খারাপ নয়। এমন কথা বলছেন বিজ্ঞানীরাই। বরং এই ঘুমের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন তারা। তবে তাদের কথায়, একটি নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ঘুমানো মোটেই ঠিক নয়।
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন জার্নালে এই নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অল্পকিছু সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নেয়া শরীর ও মস্তিষ্ক দুইয়ের জন্যই উপকারী। তবে ঘুমোনোর সময় মানতে হবে কিছু নিয়ম।
ভাতঘুমের জন্য ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করছেন গবেষকরা। ইংরেজিতে যাকে ন্যাপ বলা হয়। এই ন্যাপ সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ৩০ মিনিটের বেশি নয়। কারন, এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply