নদ-নদীর পানি কমলেও গাইবান্ধায় বানভাসীদের দুর্ভোগ বাড়ছে

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

কয়েকদিন ধরে বানের পানিতে প্লাবিত হয় জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্মাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৬১ হাজার মানুষ। নিমজ্জিত হয় বির্স্তীণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাকসবজিসহ দুই হাজারের বেশি হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুকুর ও মৎস খামার। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ ঘোষণা করা হয় দুর্গত চার উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকসহ ১২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বাড়িঘর ছেড়ে পানিবন্দি অনেকেই আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু জায়গায়। এছাড়া সরকারিভাবে খোলা ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্রেও কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দেয়, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। পাশাপাশি গো-খাদ্যের সঙ্কটে পড়ে গবাদি পশু গরু-ছাগল নিয়েও বিপাকে পড়েন বানভাসী মানুষরা।

বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ-কষ্ট বাড়লেও তাদের খোঁজ নেয়নি কেউ। আছে ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও। যদিও বন্যাকবলিত ৪ উপজেলার মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৬০৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২২ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ১৯ লাখ ও গো-খাদ্য ক্রয়ে ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, দুর্গত এলাকায় ৮০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৬ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা ও গো-খাদ্যের জন্য ১৬ লাখ টাকা টাকা বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply